সোমবার ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

গুরুদাসপুরে রোদে পুড়ছে পাট,পানির জন্য কৃষকের হাহাকার

সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ

১৪ জুলাই ২০২২ ১২:২৩ অপরাহ্ণ

গুরুদাসপুরে রোদে পুড়ছে পাট,পানির জন্য কৃষকের হাহাকার

পাট পচানো পানির হাহাকার জেনেও পাট কাটছেন কৃষক ছবিটি বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসদরের আনন্দ নগর মাঠ থেকে তোলা-গুরুদাসপুর বার্তা

গত বছরের ভালো দামে আশাবাদি কৃষক এবছর পাট চাষের দিকে বেশি ঝুকেছিলো। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পাটের বাম্পার ফলনের আশা করছিলো উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরও। কিন্তু বাদ সেধেছে তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি। তাপদাহে মাঠেই শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। পানির অভাবে পাট জাগ(পচানো)দেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাজ তাদের কপালে। এমন অবস্থা নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার অধিকাংশ পাট চাষির।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ জানান, গত বছরে পাটের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা গত বছরের চেয়ে ৩০০ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ করেছেন। এ বছর উপজেলায় ১৫ হাজার পাট চাষি তাদের ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন। এর মধ্যে তোষা জাতের ৪ হাজার হেক্টর ও দেশী জাতের ১৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(১৪ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে সরেজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা গেছে,বর্ষা মৌসুমে প্রকৃতিতে চলতে গ্রীষ্মের তাপদাহ। কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ার মাঠের পাট মাঠেই পুড়ছে। অনেকে কেটেও পানির অভাবে জাগ দিতে না পেরে জমিতে স্তুপ করে রেখেছেন। অনেক কৃষক পুকুর বা ছোট জলাশয়ে সেচ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করলেও তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। নিশ্চিত লাভ জেনেও প্রকৃতির বিরুপ আচরনে কৃষকের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে।

গুরুদাসপুর পৌরসদরের আনন্দ নগর মহল্লার আবু সাইদ,দেলবর হোসেন,মকছেদ আলীসহ অন্তত ১০জন কৃষক জানান,প্রথমদিকে সংকটের কারনে বেশি দামে সার কিনতে হয়েছিলো তাদের। এখন পানির অভাবে পাট জাগ দিতে সমস্যা থাকায় মাঠ থেকে দূরে নদী ও বিলে পাট নিয়ে জাগ দিতে হচ্ছে। এতে তাদের শ্রমিক ও পরিবহনের অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে। একবিঘা জমিতে পাটচাষে খরচ প্রায় ১৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় গড় ফলন ৮মন। প্রতিমন পাটের বর্তমান বাজার দর ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা। এদামে পাট বিক্রি করলে তারা খুববেশি লাভবান হবেন না।

উপজেলা কৃষি স¤প্রসারন কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান বলেন, উপজেলায় পাট চাষ এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। মাঠে পাটের অবস্থাও ভাল। এখন পাট কাটার সময় চলছে। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে কৃষক পাট নিয়ে হতাশায় রয়েছেন। মৃদু তাপদাহ চললেও আপাতত বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। আমরা কৃষকদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচানোর পরামর্শ দিচ্ছি। এতে যেমন খরচ কম তেমনি পাটের মানও ভালো থাকে।

Facebook Comments Box
SHARE NOW

বাংলাদেশ সময়: ১২:২৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

gurudaspurbarta.com |

advertisement

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement

আক

শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১ 
advertisement

প্রকাশক : মোঃ ফারুক হোসেন ০১৭১১০৫৫৪৩১

সম্পাদক : অধ্যাপক মোঃ সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ ০১৭১৯৭৯৩০০৩

আইন উপদেষ্টা : এডভোকেট এস এম শহিদুল ইসলাম সোহেল, সুপ্রিমকোর্ট ঢাকা

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়, মুন টেলিকম, চাঁচকৈড় বাজার, গুরুদাসপুর, নাটোর-৬৪৪০। 01711055431, gurudaspurbarta@gmail.com, gurudaspurbarta@hotmail.com