নাটোর-৪ আসনের(গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম)সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম মোজাম্মেল হকের জীবনাবসান ঘটেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয গুরুদাসপুর পৌরসদরের নিজ বাসভবনে মৃত্য্যুবরণ করেন তিনি। মোজাম্মেল হকের ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মোজাম্মেল হকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী,তিন ছেলে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বনপাড়া কালীকাপুর মাঠে প্রথম ও পরে জুমার নামাজ শেষে গুরুদাসপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষে মিরপুর শাহ আলী (রা.) মাজার শরীফে বাদ এশা জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
মোস্তফা কামাল আরো বলেন,বুধবার বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ শেষে রাতে গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আয়নাল হকের জানাজায় অংশগ্রহণ করেন মোজাম্মেল হক। এরপর বৃহস্পতিবার সারাদিন তিনি নিজ বাসাতেই অবস্থান করছিলেন। রাত ১০টার দিকে হঠাৎ তার মৃত্যুর সংবাদ পান তিনি।
তাঁর মৃত্যৃতে নাটোর জেলা আ.লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস,বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু,সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কাশেম সরকার শোক জানিয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ জানান,মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দলীয় নেতা-কর্মিরা ভেঙ্গে পরেছেন। একসময় গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পরে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি এডাবের সাবেক পরিচালকও ছিলেন। মোজাম্মেল হক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকায় অসংখ্য উন্নয়নমুলক কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে গুরুদাসপুর বার্তা পরিবার গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain