গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রাত ৮ টার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল চত্ত্বরে শতবর্ষী এক মহিলাকে কে বা কারা ফেলে রেখে যান। তাঁর মাথায় ছিলো ক্ষত, সেখানে ধরেছিলো পচন। অভিভাবকহীন ওই বৃদ্ধমহিলাকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ উদ্ধার করে ৪০দিন ধরে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে তিনি অনেকটা সুস্থ্য হলেও ঠিকানা বলতে পারছেন না। মানষিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলার স্বজনদের খুঁজে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের চিকিৎসক মোছা. শারমিন সিদ্দিকী জানান,তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ওই মহিলাকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে চলেছেন। তার শরীর এখনও বেশ দুর্বল। ঠিকমতো খাবার খেতে পারছেন না,দাঁড়াতেও পারছেন না। বিছানাতেই মল-মুত্র ত্যাগ করছেন। এমতাবস্থায় অভিভাবকহীন ওই বৃদ্ধার মলমূত্র পরিষ্কার করাসহ সময়মতো দেখভাল করতে গিয়ে হাসপাতালের অন্যান্য কাজ ব্যহত হচ্ছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে অভিভাবকহীন ওই মহিলাকে তারা চিকিৎসা সেবা দিয়ে চলেছেন। চিকিৎসক,সেবিকা ও ষ্টাফদের মানবিক সেবায় তাঁকে অনেকটাই সুস্থ্য করা সম্ভব হয়েছে। দুদিন ধরে তিনি নিজের নাম ‘জোসনা’ ছাড়া অন্য কিছু বলতে পারছেন না। তাকে হাসপাতালের পর্যবেক্ষন কক্ষে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শতবর্ষী ওই মহিলাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে বিভিন্ন দফতরের সহযোগীতা চেয়েও কোন সুফল পাননি। তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাসপাতাল কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ৬:২৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৩
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain