সুইমিং ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনা ও বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মেধাবী সম্ভাবনাময় ও সুবিধাবঞ্চিত সাঁতারুদের খুঁজতে দেশব্যাপী শুরু হয় সুইমার ট্যালেন্ট হান্ট। কয়েকধাপ পেরিয়ে জাতীয় পর্যায়ে উচ্চতর প্রশিক্ষনের সুযোগ পায় গরিব-মেধাবী জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাতি। সেই জান্নাতিকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে রাশিদ-নিলু ফাউন্ডেশন।
![]()
এর আগে ‘দেশ সেরা সাতারু হতে চায় জান্নাতি’ শিরোনামে গুরুদাসপুর বার্তাসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি নজরে এলে সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জান্নাতির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজের মাধ্যমে ওই সহযোগিতার চেক প্রদান করে রাশিদ-নিলু ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্টাতা আমেরিকা প্রবাসী রাশিদুল ইসলাম। সংগঠনটি ছাত্র উপবৃত্তি,অসুস্থ্যদের চিকিৎসা সহযোগীতাসহ নানা মানবিক কাজের সাথে যুক্ত।
জাতীয় পর্যায়ে উচ্চতর প্রশিক্ষনে সুযোগ পাওয়া ২৩ বালিকা সাঁতারুর একজন জান্নাতি। সে দেশসেরা সাঁতারু হতে চায়। জান্নাতি গুরুদাসপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। সে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসদরের খলিফাপাড়া মহল্লার দিনমুজুর রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
চেক হস্তান্তরের সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আকতার, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব আলী, উপজেলা প্রকৌশলী মিলন মিয়া, ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম মাস্টার, হাজী রুবেল আলী, জান্নাতির বাবা রফিকুল ইসলাম, মা ঝর্না বেগম, ভাইসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
জান্নাতি বলেন,ছোটবেলা থেকেই বাড়ির পাশের নন্দকুজা নদীতে সাঁতার কাটতাম। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হয়ে ফুটবল,নৃত্যে পদক পেয়েছি। নৌবাহিনীর সাঁতারের কোচ প্রতিবেশী আতিক ভাই আমাকে সাঁতারের জন্য উৎসাহ দেন। তার উৎসাহে উপজেলায় প্রশিক্ষন গ্রহণ করে বর্তমানে এ পর্যন্ত অগ্রগতি। সবার সহযোগীতায় আমি দেশ সেরা সাতারু হতে চাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ বলেন, জান্নাতির মতো অনেক প্রতিভাবান লুকিয়ে আছে। প্রতিভাবান খুঁজে বের করে তাদের প্রতিভার বিকাশ ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে উপজেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর সুইমিং ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় এবং নৌবাহিনীর সহায়তায় আয়োজিত ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার লাভ করে জান্নাতি। এর আগে সুইমার ট্যালেন্ট হান্টের প্রথম পর্বে দেশের ২ হাজার ৮৯ জন সাঁতারু থেকে প্রাথমিকভাবে ৬৩০ জন সাঁতারুকে বাছাই করা হয়। তাদের ছয়টি গ্রুপে ভাগ করে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে বাছাই অনুশীলন হয়। পরে ৭০ জনকে (৪৭ জন বালক ও ২৩ জন বালিকা) চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়। আগামী দুইবছর মেয়াদী আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ডাক পেয়েছে তারা। প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী সাঁতারুগণ পরবর্তীতে সরাসরি বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থায় চাকরির সুযোগ পাবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain