ঈদুল আযহার বাকী মাত্র ক’দিন। ঈদকে সামনে রেখে নাটোরের গুরুদাসপুরের হাটগুলোতে অঢেল পশুর সমাগম,চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দাম কম বলে খামারীদের মুখ মলিন। তবে কমদামে পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন,এবছর গো-খাদ্যসহ তত্বাবধান ব্যয় বাড়লেও বাড়েনি পশুর দাম।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান,উপজেলায় এবছর ২ হাজার ৩৫৪ টি খামারে গরু,ছাগল ভেড়া,মহিষ অন্যান্য মিলে মোট ৯০ হাজার ৭১৪টি কোরবানির পশু প্রস্তত করছেন খামারিরা। যার বাজার মুল্য প্রায় ৬শ কোটি টাকার উপরে। উপজেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ৩৭ হাজার ৮০২টি পশুর। চাহিদার চেয়ে ৫২ হাজার ৯১২টি পশু অন্যত্র বিক্রি করতে পারবেন খামারিরা। গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও পশুর ভালোদামে খামারীরা লাভবান হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
সরোজমিনে মঙ্গলবার (২০জুন) দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার বৃহৎ পশুর হাট চাঁচকৈড় ঘুরে দেখা গেছে, সাড়িবদ্ধ বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা রয়েছে বিভিন্ন আকৃতি ও রঙের ষাড় গরু। হাটে জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারনে ব্রীজের ওপরের গরু রাখা হয়েছে। কেনা বেচা নিরাপদ ও জাল টাকা রোধে পুলিশী টহলও লক্ষ্য করা গেছে। হাটে পশুর সুস্থ্যতা যাচাই করতে উপজেলা প্রানী সম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে পশুর স্বাস্থ্য পরিক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
চাঁচকৈড় হাটে গুরুদাসপুর পৌর সদরের আনন্দ নগর মহল্লার খামারী মজনুর রহমান (৪০) অষ্ট্রেলিয়ান শংকর জাতের তাঁর ২টি ষাড় এনেছেন। ষাড় দুটির ওজন ধরা হয়েছে ১৭ মন। খামারী ষাড় দুটির দাম ৫ লাখ টাকা হাঁকছেন। ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা দাম উঠলেও কাঙ্খিত দাম না পেয়ে এখনও বিক্রি করেননি তিনি। অভিযোগ গত বছরের তুলনায় ঔষুধ,খড়,ভুষি,খুদ,খৈইলসহ পশুখাদ্যের সব উপাদানের দাম বেশি হলেও দাম কম। যে দাম উঠেছে সে দামে পশু দুটি বিক্রি করলে তার লাভ হবে না।
স্থানীয় গরু ব্যাবসায়ী আল আমিন হোসেন বলেন,প্রতিবছর কোরবানীর ঈদকে ঘিরে স্থানীয় হাট ও কৃষান কৃষানীর বাসা থেকে সুলভমুল্যে গরু কিনে সিলেট নিয়ে বিক্রি করেন তিনি। এ পর্যন্ত ৭টি গরু কিনেছেন তিনি। দাম স্বাভাবিক রয়েছে। দেখেশুনে একগাড়ি (ট্রাক) গরু কিনবেন তিনি।
রাজধানীর গাবতলী থেকে আসা ব্যাপারী আব্দুর রশিদ বলেন,-গুরুদাসপুর এলাকার পশুর চাহিদা রয়েছে ঢাকায়। ‘গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় খামারীরা পশুর দাম বেশি হাঁকলেও দাম স্বাভাবিক রয়েছে। গত বছরের তুলনায় গরুর দাম বাড়েনি কমেওনি।
হাটের ইজারাদার রবিউল করিম ফকির জানান,‘হাটের ইজারা বেড়ে যাওয়ার কারনে টোল গত বছরের তুলনায় কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। দুরবর্তী এলাকার ব্যাপারীদের থাকা ও খাওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছেন তারা। তিনি বলেন,হাটে পশুর সমাগম যথেষ্ট। কেনা-বেচাও হচ্ছে ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ৫:০১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain