চাঁদাবাজির অপবাদ দিয়ে মো. মাসুদ রানা ও সুমন মোল্লা নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগিরা। সম্মেলনে চাঁদা দাবির মামলাটি প্রত্যাহারের দাবিও জানান তাঁরা।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তোভোগী সুমন মোল্লা ছাড়াও মাসুদ রানা,মীর শফিকুল ইসলাম, মকবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুমন মোল্লা জানান, গত রবিবার রাতে তাঁর মিটার থেকে চুরি করে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে পুকুরে পানি দিচ্ছিলেন মুনছুর রহমান। তিনি ও তার বন্ধু রাতে হাতেনাতে বিদ্যুৎ চুরির বিষয়টি ধরে ফেলেন। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানোর কথা বলা হলে অভিযুক্ত মুনছুর রহমান বিদ্যুৎ বিলের জন্য ১০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। সেই চুরির অপবাদ ঢাকতে উল্টো চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলার দিয়ে তাদের হয়রানী করা হচ্ছে।
অপর ভুক্তভোগী মাসুদ রানা বলেন,মুনছুর রহমান মিথ্যা, মানহানীকর তথ্য দিয়ে তাদের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে,পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবী করা হয়েছে। বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা। সংবাদ সম্মেলনে ওই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মুনছুর রহমান জানান, সুমন মোল্লা ও তাঁর সহযোগীরা প্রকৃতই চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত। চাঁদাবাজির মামলা ঢাকতে তারা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান,সোমবার মুনছুর রহমান বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য-রবিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে মাছচাষী মুনসুর রহমানের পুকুরে গিয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের অজুহাতে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাদাবী করেন অভিযুক্তরা। এঘটনায় সোমবার থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন ওই মাছচাষী। এনিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মূলত তারই প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ৫:১০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৩
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain