সোহেল রানা (২২) এবার এইচএসসি পাস করে স্নাতকে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজিম ওরফে রাজিব (২৮) মধু বিক্রি করেন। আবদুল করিম (৪৭) ও রইচ উদ্দিন (৫২) বিক্রি করেন দুধ এবং ইয়াকুব আলী (২৮), আলমগীর হোসেন (২২) ও ময়েন উদ্দিন (৩২) বিলে মাছ ধরেন।
তবে এসবের বাইরে তাঁদের গোপন পরিচয়—তাঁরা দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। তাঁরা অস্ত্রের মুখে পথচারীদের জিম্মি করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেন। শুক্রবার দুপুরে নাটোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নাটোর জেলা পুলিশ গত দুই দিনে ছিনতাই করা ৪টি মোটরসাইকেল, নগদ ৫০ হাজার টাকা, ২টি চাপাতিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার সোহেল রানা ও রাজিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) লিটন কুমার সাহা বলেন, হঠাৎ চার মাস ধরে জেলায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। জেলার সিংড়া, গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্য সড়কে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে পথচারীদের সর্বস্ব ছিনতাই করা হচ্ছিল। মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার কারণে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করা বা শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব ও সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আক্তারের নেতৃত্বে দুটি দল গঠন করে এসব ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে সিংড়ার নাছিয়ারকান্দি এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী আবদুল করিমকে (৪৭) গ্রেপ্তার করে। তিন দিনের রিমান্ডে নিলে তিনি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান দেন। তাঁর দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে একই এলাকার সোহেল রানা ও রাজিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের প্রত্যেকের নামে বিভিন্ন মামলা আছে।
পুলিশ জানায়, ছিনতাই চক্রের অধিকাংশ সদস্য নাটোরের সিংড়া এলাকার। চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ৮:০১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ জুলাই ২০২২
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain