নাটোরের গুরুদাসপুরে বসবাসরত বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা,অগ্নি সংযোগ ও সহিংসতা প্রতিরোধে “সম্প্রতি রক্ষা কমিটি” গঠন করা হয়েছে। শনিবার (১০ আগষ্ট) রাতে পৌরশহরের চাঁচকৈড় বাজারের এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে আলোচনার মাধ্যমে ২১ সদস্য বিশিষ্ট ওই ‘সম্প্রতি কমিটি’ গঠিত হয়।
জানাগেছে, চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বিভিন্নস্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়ে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো সহিংস ঘটনা ঘটছে। গুরুদাসপুরে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পারস্পরিক সহবস্থান ধরে রেখে সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্টান এবং ঘড়-বাড়ি রক্ষার্থে ওই ‘সম্প্রতি রক্ষা কমিটি’ গঠন করা হয়েছে বলে আয়োজকরা জানান।
শনিবার (১০ আগষ্ঠ) রাত ৮ টার দিকে চাঁচকৈড় বাজারের তরুন ব্যবসায়ী শুভ্র সাহা শাওনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শিউলী টেডার্সে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা আনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে ওই কমিটি গঠিত হয়। এতে গুরুদাসপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এম সময় হাসান সভাপতিত্ব করেন। পরে উপস্থিত সবার সম্মতিতে এম সময় হাসানকে সভাপতি ও শুভ্র সাহা শাওনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এসময় দেবু ঘোষ, বুদ্ধ দেব সরকার, মঞ্জয় ঘোষ, আপেল মাহমুদ, শামিম আহম্মেদ, সুজাউদ্দৌলা সুজন, মো. সেলিম, মাসুদ তালুকদার, ইয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আসিম কুমার পাল,প্রশান্ত কুমার মানি,প্রনয় কুমার বর্মন জগোসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসিম কুমার পাল জানান,দেশটা সকলের,সকল ধর্মের মানুষের। এখানে সবার স্বাধীনভাবে ধর্মপালন ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার অধিকার আছে। গুরুদাসপুর ধর্মীয় সম্প্রতির শহর। এ শহরের ধর্মীয় সম্প্রতি নষ্ট হোক এটা কারো কাম্য নয়। তিনি সম্প্রিতি রক্ষা কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
সম্প্রতি রক্ষা কমিটির সভাপতি সময় হাসান জানান, আমরা গুরুদাসপুরকে ধর্মীয় সংঘাত মুক্ত রাখতে চাই। সকল ধর্মের মানুষ সহঅবস্থানে থাকতে চাই। কেউ আক্রান্ত হলে আমরা সবাই মিলে প্রতিরোধে অঙিকারবদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ১:৩৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১১ আগস্ট ২০২৪
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain