নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব আলী (৫৫) কে শুক্রবার চাঁদাবাজি ও জায়গা দখলের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার (১৯অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে নাজিরপুর বাজার এলাকায় বিক্ষোভ ও আনন্দ মিছিল শেষে মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ মানুষ। মিছিলটি গুরুত্বপুর্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ধান হাটায় এসে শেষ হয়।
আয়োজকসুত্র জানায়, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আয়ুব আলী এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ,দখলদার ও ক্যাডার। তার গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। এই খুশির সংবাদে তারা বিক্ষোভ ও আনন্দ মিছিল শেষে মিষ্টি বিতরণ করেছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতার দাবী তাদের।
নাজিরপুর মরিয়ম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিএনপি নেতা ফিরোজ আলী বাদী হয়ে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আয়ুব আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আনন্দ মিছিল শেষে উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও মামলার বাদী ফিরোজ আলী বলেন, আওয়ামীলীগ শাসন আমলে চেয়ারম্যান আয়ুব আলী ও তাঁর কতিপয় অনুসারীরা দলীয় প্রভাবে তার নামে ৯ টি মিথ্যা ভিক্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। আয়ুব আলী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী,ভোট চোর,অস্ত্রবাজ। তার বিদ্যালয়ের ১৩ শতক জায়গা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে দখল করেছে। সে সময় বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি বুঝে বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি। আয়ুব আলীর গ্রেফতারে এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে। সাধারণ মানুষ রাস্তায় আনন্দ মিছিল করেছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপি নেতা ফিরোজ আলী বাদী হয়ে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার থানায় মামলাটি রেকর্ড করে চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার হওয়া চেয়ারম্যানের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর সহোদর বড় ভাই নজরুল অভিযোগ করে বলেন, তাঁর ভাই নির্দোষ। চাঁদাবাজি ও বিদ্যালয়ের মাঠ দখলের সাথে তিনি জড়িত নয়। মূলত ক্ষমতা পালাবদলে তাঁর সম্মানহানি করতে শিক্ষক ফিরোজ আলী তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সালমা আক্তার বলেন,ফৌজদারী কোন অপরাধের সাথে চেয়ারম্যান জড়িত থাকলে গ্রেফতার হতেই পারে। বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসককে অবগত করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ৪:০১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain