নাটোরের গুরুদাসপুরে ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায় আল্পনা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করেছে। রবিবার (২০অক্টোবর) সকাল ১১ টায় চাঁচকৈড় বাজার পাড়াস্থ নিজ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানের মালিক আলাল উদ্দিন। এসময় ক্লিনিকের ম্যানেজার আব্দুল মোনায়েম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলাল উদ্দিন বলেন, গত ২৫ সেপ্টম্বর ‘ভুল রক্ত প্রয়োগে শিশুর মৃত্যু, ক্লিনিক সিলগালা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ভিক্তিহীন। গত ২২ সেপ্টেম্বর আল্পনা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সাথী খাতুন নামের এক গর্ভবতী চিকিৎসা নিতে আসেন। রক্তস্বল্পতার কারণে যথাযথ পরীক্ষা করে ওই রোগীর শরীরে একব্যাগ রক্ত প্রদান করা হয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান ওই গর্ভবতি নারী। পরবর্তীতে ওই প্রসূতির গর্ভকালীন সমস্যা দেখা দিলে তার স্বজনরা পাশের হাজেরা ক্লিনিকে ভর্তি করান।
অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, হাজেরা ক্লিনিকের চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম সাগর চিকিৎসা ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম সোহেল ওই গর্ভবতীকে সিজার করে মৃত্যু নবজাতক বের করেন। তবে প্রসূতি বেঁচে আছেন। অথচ সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়- আল্পনা ক্লিনিকে রোগীর শরীরে ভিন্ন গ্রুপের রক্ত প্রদান করায় শিশুটি মারা যায়। সংবাদটি প্রকাশের পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর আল্পনা ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। ক্লিনিক বন্ধ থাকায় আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। সত্যতা যাচাইপূর্বক আল্পনা ক্লিনিক পরিচালনার সুযোগ দিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয় গর্ভের শিশু মৃত্যুর দায় নিজেরা না নিয়ে হাজেরা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ভুল বুঝিয়ে রোগীর স্বজনদের দিয়ে আল্পনা ক্লিনিকের নামে গুরুদাসপুর থানায় শিশু মৃত্যুর মিথ্যে অভিযোগ দেয়া হয়। শিশুটির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য প্রথমে নাটোর মর্গে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগে প্রেরন করেন গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে হাজেরা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ইসলাম সাগর বলেন,রোগীর স্বজনরা গর্ভের শিশুটি মৃত অবস্থায় তার ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। বিষয়টি স্বজনদের জানানোর পর তাদের অনুমতি সাপেক্ষে সিজার করে মৃত সন্তার বের করা হয়। আল্পনা ক্লিনিকের ভুল রক্ত প্রয়োগে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এর দায়-দায়িত্ব তাদের, আমাদের না।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন না থাকা ও ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়। এরপর তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। পূর্ন তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৪:২৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain