সম্প্রতি ছাত্রকে বিয়ে করে আলোচিত-সমালোচিত নাটোরের গুরুদাসপুরের সেই সহকারি অধ্যাপক খাইরুন নাহার (৪৫) রবিবার ভোর রাতে আত্মহত্যা করেছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা রহস্যাবৃত। নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নাছিম আহমেদ ওই কলেজ শিক্ষিকার স্বামী কলেজ ছাত্র মামুন হোসেনকে গ্রেফতার ও মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানাগেছে,পারিবারিক অমতে প্রেম করে বিয়ের পর থেকে নাটোরে বলারিপাড়া এলাকার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলার একটি ফ্লাটে নাহার ও মামুন দম্পতি ৬ মাস ধরে ভাড়া থাকতেন। রোববার ভোরে (১৪ আগস্ট) স্বামী মামুন হোসেন জানান তার স্ত্রী সিলিং ফ্যানের সাথে ওরনা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অসম প্রেম ও বিয়ে নিয়ে সামাজিক ও পারিবারিক ও মানষিকভাবে বিপর্যস্থ ছিলেন ওই শিক্ষিকা।
ভাড়া বাসার দারোয়ান নিজাম উদ্দিন বলেন,‘রাত ১১টায় বাসায় ঢোকেন মামুন। আবার আড়াইটার দিকে বের হন। এ সময় কেন বের হচ্ছে জানতে চাইলে মামুন বলেন,ওষুধ কিনতে যাচ্ছেন। পরে সকাল ৬টায় মামুন আবার ফিরে আসেন। এরপর মামুন তাকে ডাকেন। আমি চার তলায় গিয়ে দেখি সিলিং ফ্যান থেকে নামানো লাশ । তিনিসহ এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে মামুনকে আটকে পুলিশে খবর দেয়া হয়।’
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, অসম প্রেম ঘটিত ছাত্র-শিক্ষিকার বিয়ের নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন, সামাজিক ও পারিবারিক ভৎসনার কারনেই আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তার গলায় দাগ রয়েছে। এ ঘটনায় সিআইডির স্পেশাল টিম তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের ফলাফলের উপর নির্ভর করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত)আবু সাইদ বলেন, সহকর্মী খাইরুন নাহারের মৃত্যুর খবরে প্রতিষ্টানের সবাই মর্মাহত। তবে এটি যদি হত্যা হয় তাহলে এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।
উল্লেখ্য-খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর পৌরসদরের খামারনাচকৈড় মহল্লার মো.খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। বর্তমান স্বামী মামুন হোসেন উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর এন এস সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এর আগে দুই সন্তানের জননী খায়রুন নাহার আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মামুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাস পর গত জুলাই মাসে বেশকিছু সংবাদ মাধ্যমের ঘটনাটি প্রকাশ পেলে আলোচিত-সমালোচিত হন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ৪:০৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৪ আগস্ট ২০২২
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain