নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রাম থেকে পাঁচলাড়–য়া গ্রাম পর্যন্ত গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি কাঁচা। এটি পাকা করার দাবি ৪৫ বছরের। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,সিংড়া উপজেলার বেশিরভাগ সবকটি রাস্তা পাকা হলেও এখনো অনুন্নত নারায়ণপুর গ্রাম। যেখানে পৌঁছেনি উন্নয়নের ছোয়া কিংবা কাঁচা সড়কে ইট বিছানোর মতো কার্যকর পদক্ষেপ। বর্ষাকালে কাঁচা রাস্তা গুলো চলাচলের জন্য একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মাত্র এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সহস্রাধিক জনসাধারণকে।গ্রামটির অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
বর্ষা মৌসুমে গ্রামীণ এই কাঁচা সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কাদা রাস্তায় দুর্ভোগে পড়তে হয় গ্রাম অঞ্চলের মানুষকে। ছোট ছোট যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। এলাকার রাস্তা দিয়ে মানুষের চলাচল কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই নারায়ণপুর কাঁচাসড়ক দিয়ে রৌধী,চামারী,ধুলিয়া ডাঙ্গা, পাছলাড়–য়া,আগলাড়–য়া,নতুনবস্তি,সাঐল সহ ১০ টি গ্রামের লোক যাতায়াত এবং কৃষিপণ্য আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহার করে ।
নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা হিমেল শেখ বলেন,বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে।
পাঁচলাড়–য়া গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমান বলেন, ৪৫ বছর ধরে এ রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্র“তি দিয়ে আসছেন জনপ্রতিনিধিরা। কেউ কথা রাখেননি ।তবুও প্রয়োজনের তাগিদে দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই যাতায়াত করছে দুটি গ্রামের মানুষ।
অল্প বৃষ্টিতে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ওই সময় রাস্তায় ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী,ছোট শিশু,বৃদ্ধ মহিলা ও লোকজন এতে প্রতিনিয়ত সমস্যায় সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানা যায়।
কলেজ শিক্ষার্থী পরী বানুু জানান, “দীর্ঘদিন যাবত তাঁরা কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। গ্রাম থেকে এক কিঃমিঃ পরেই পাকা রাস্তা পাওয়া যায়। অথচ সামান্য কাজ না করায় যাতায়াত করতে জনগণকে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে”।
৬নং হাতিয়ান্দাহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান চঞ্চল বলেন ,এ দুটি গ্রামের বাসিন্দারা পাকা সড়কের অভাবে দুর্ভোগে আছেন। আমি এ সড়ক পাকা করার ব্যবস্থা করব।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিরুল ইসলাম বলেন, এ বছর অবশ্যই সড়কটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৫:৩০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain