ঢাকার কামরাঙ্গির চর এলাকায় জমি কিনে প্রতারনার শিকার এক স্কুল শিক্ষক। আলমগীর হোসেন নামের ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের বাসা নাটোরের গুরুদাসপুরে। প্রতারক চক্র তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকের দাবী এই চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমিদখলসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
আলমগীর হোসেন গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা স্কুল এ্যান্ড কলেজের গনিতের শিক্ষক। কুষ্টিয়া জেলার মীরপুরে তার জন্মস্থান হলেও দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে উপজেলার খুবজীপুরে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যহতির দাবি নিয়ে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন এই শিক্ষক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে আলমগীর হোসেন দাবী করেন, ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডির স্কয়ার টাওয়ার ৩-ই, ৩৬/৬ নম্বর এলাকার মরহুম আইয়ুব আলীর কন্যা সাদেকা সুলতানার (৪০) নিকট থেকে ১০ শতাংশ (পাওয়ার অব এ্যাটর্নি মুলে) জমি ক্রয় করেন তিনি। যার দাগ নম্বর ৬৫৭,আর এস ৪২৭। সাদেকা সুলতানা তার লিখে দেয়া অপ্রত্যাহার যোগ্য পাওয়ার অব এ্যাটর্নি দলিল বাতিল করে উল্টো চলতি বছরের ২৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন।
জমি বিক্রির আগে সাদেকার সাথে তার প্রবাসী স্বামীর বিচ্ছেদ হয়। একারণে জমিটি কেনার সময় তার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে আজমাইন আবরার স্বাক্ষী হিসেবে দলিলে স্বাক্ষর করেছেন।
আলমগীর হোসেন বলেন, জমি কেনার কিছুদিন পর টাকার প্রয়োজনে গত বছরের ২২ মার্চ সেই ১০ শতাংশ জমির ৬.৬০ শতাংশ জমি বিক্রিও করেন ওই শিক্ষক। সাদেকার স্বজন মুরাদকে অর্থনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করতে সাদেকাকে প্রভাবিত করেছেন মুরাদ। এছাড়া সম্মানহানিকর তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশও করিয়েছেন তিনি।
শিক্ষক হিসেবে এসব ঘটনা তার জন্য চরম অসম্মানের। তিনি দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তবে সাদেকা সুলতানা মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ৬:০৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain