নাটোরের গুরুদাসপুরে মারপিট ও আগুন দিয়ে ঘর পুড়িয়ে দেয়া মামলায় আটক স্বজনদের মুক্তি ও মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিন নারিবাড়ী গ্রামে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে রবিউল করিম জানান,১১ অক্টোবর গভীর রাতে তাদের প্রতিবেশী মকবুল হোসেনের স্ত্রী জুলিয়া বেগম প্রাকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে অজ্ঞাত যুবকরা তাঁকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা চেষ্টা করে।
এরপর ২২ অক্টোবর দুপুরে মকবুল হোসেনের গোয়াল ঘর আগুনে পুড়ে যায়। দুটি ঘটনাতে মকবুল হোসেন ও তাঁর স্ত্রী কাউকে স্বনাক্ত করতে পারিনি। অথচ সাত জনকে আসামী করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করে মকবুল। তাঁর মিথ্যা অভিযোগে করা মামলায় বর্তমানে হুসেন আলী প্রামানিকের ছেলে রঞ্জু প্রামানিক (৪২) ও তার ভাই মুঞ্জু প্রামানিকসহ মনিরুল ইসলাম নামের অপর একজন আটক রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সন্তানদের পক্ষে মা রাফেজা বেগম(৬৫)কান্নাজরিত কন্ঠে দাবী করেন,তার সন্তানরা নির্দোষ। অনুমান নির্ভর মামলায় জড়ানো হয়েছে তাদের। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তিরা আটকের কারনে পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তিনি সন্তানদের নির্দোষ দাবী করে তাদের মুক্তি দিয়ে জড়িতদের গ্রেফতার দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাফেজা বেগম, হুসনে আরা বেগম,জালাল উদ্দিন,রবিউল করিম,আলাল সরদার,আবু বক্কার,বয়েজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বাদী মকবুল হোসেন জানান,বাড়ি পোড়ানো ঘটনায় দৌড়ে পালানোর সময় আসামীদের তিনি শনাক্ত করতে পেরেছেন। প্রকৃত দোষীদের নামেই তিনি মামলা করেছেন। আদালতেই প্রমান হবে তারা দোষী কি নির্দোষ?
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ইমরান হোসেন জানান,এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে,তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের বিষয়ে জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ৪:১৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain