বিএনপি’র এক কর্মীর পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতাসহ ৯ জনকে কুপিয়ে যখমের প্রতিবাদে নাটোরের গুরুদাসপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। রবিবার বেলা ৪ টায় চাঁচকৈড় চৌতালী হাটা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বাজার প্রদক্ষিন শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভা করেছে। সেখান থেকে আসামী ধরতে পুলিশ প্রশাসনকে ৪৮ ঘটা সময় বেধে দেন নেতারা।
পথসভায় পৌর বিএনপির সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ,সাধারণ সম্পাদক আলহাজ ওমর আলী শেখ,সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ দুলাল সরকার,জেষ্ঠ্য সভাপতি নাজমুল করিম নজু,যুগ্ম সম্পাদক মিলন মাহমুদ,সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এম সময় হাসান,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সুজাউদৌলা সুজন,স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামীম আহম্মেদ,ছাত্রদল নেতা নিহাল প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা দাবী করেন,অভিযুক্তরা আওয়ামী ও অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সাথে যুক্ত। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মুল অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মর্সচী দেয়া হবে।
জানা গেছে,শুক্রবার রাত আটটার দিকে জানাযা শেষে ফেরার পর মধ্যমপাড়ার একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন বিএনপি নেতা এমদাদ সমর্থিতরা। এসময় যুবলীগ নেতা আলমগীর, আওয়ামী লীগ নেতা মকলেছ মৃধা, জাহাঙ্গীরসহ ১৫ থেকে ২০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা এমদাদ, ছাত্রদল নেতা শাকিল, মিলন প্রামাণিক, সাব্বির হোসেন, জনি পারভেজ, শামীম রহমান ও সাইফুল ইসলামসহ ৯জনকে কুপিয়ে যখম করেন। আহতদের মধ্যে ৩ জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং গুরুতর আহত শাকিল ও জনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় আব্দুল হামিদ প্রামানিক (৬২) বাদী হয়ে শনিবার রাতে ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মকলেছ মৃধা, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর মৃধাসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৭ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। রাতেই রায়হান নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত ব্যক্তিরা ও হামলাকারীরা চাঁচকৈড় মধ্যপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
মামলার বাদি আব্দুল হামিদ বলেন, রাকিব চাল বিক্রির ৩ হাজার টাকা পেতেন যুবলীগ নেতা আলমগীরের কাছে। আলমগীরের প্রতিবেশি বিএনপি নেতা এমদাদের সরনাপন্ন হন রাকিব। টাকা তুলতে গিয়ে আলমগীরের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন এমদাদ ও রাকিব হোসেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালিয়েছেন আলমগীর ও তার সহযোগীরা।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, কুপিয়ে যখমের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাসহ অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৯:২৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain