এক মুরগীর দাবীদার নিয়ে দুই প্রতিবেশী মহিলার বিবাদ গড়ায় গ্রাম্য শালিস পর্যন্ত। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মুরগীটি কাউকে না দিয়ে মাদ্রাসায় এতিমদের খেতে দান করে দেয়ার। শালিশী সিদ্ধান্ত একজন মানলেও অন্যজন মানতে নারাজ। অতপর স্বামী,স্ত্রীকে রায় মানতে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ির পাশে আত্মগোপন করেন। স্ত্রী স্বামীকে জীবিত ফেরৎ পেতে মানত করলেন জোড়া খাসির। আর সে মানত বাস্তবায়নে চলছে ৩শ লোকের ভোজের আয়োজন.. এমনই এক ব্যাতিক্রম ঘটনা ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের আনন্দ নগর মহল্লায়। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,আনন্দ নগর মহল্লার নুর ইসলাম নুরু ও প্রতিবেশী রবিউল করিম রবি’র স্ত্রীদের মধ্যে একটা মুরগীর দাবীদার নিয়ে দ্বন্দ শুরু হয়। সেঘটনাও বেশ কিছুদিন আগে। শুক্রবার(৩ জুন) সকাল থেকে চলছিলো খাসী জবেহ,মাংস প্রস্তত,রান্নার আয়োজন। শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে চলছিলো দাওয়াতী অতিথি আপ্যায়ন। নুর ইসলাম নুরুর ছেলে শেখ ফরিদ জানান,মুরগী নিয়ে দ্বন্দে তার বাবা আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ি পাশে লুকিয়ে পরে। বাবাকে জিবিত ফেরৎ পেতে মা খাসি মানত করেন। আজ সে মানতের খাসির মাংশ দিয়ে অতিথিদের খাওয়ানো হচ্ছে। প্রতিবেশী ও নুর ইসলামের স্বজন ইউনুছ আলী মোল্লা জানান,নুরুর বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় তার বাড়িতেই চলছে এ আয়োজন। ১২ হাজার টাকা মুল্যের খাসি ও ৬০ কেজি চাল দিয়ে খিচুরী রান্না করা হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার টাকা ব্যায়ে তিনশ লোক দাওয়াত করে খাওয়ানো ব্যবস্থা করা হয়েছে। ]পৌর সদরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কমিশনার ফজলুর রহমান ফজল ও সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন বাবলু জানান,তারা বিষয়টি শুনেছেন কিন্তু দাওয়াত পাননি। তবে ঘটনাটি এলাকায় বেশ আলোচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ৪:৪০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৫ জুন ২০২২
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain