পুলিশ পরিচয়ে মুনসুর রহমান নামের এক মাছচাষীর কাছ থেকে ৪৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে মাসুদ রানা,সুমন মোল্লা ও আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় অভিযুক্ত তিজনের নাম উল্লেখ করে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।অভিযুক্ত মাসুদ রানা গুরুদাসপুর পৌর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।সুমন ও সালাম মোল্লা উভয়ে পিতা-পুত্র। তারা উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার (৬ নভেম্বর) সকালে ভুক্তভোগি মাছচাষী বাদী হয়ে মাসুদ রানা, সুমন মোল্লা ও আব্দুস সালামকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেন।মাছচাষী মুনসুর রহমানও একই গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী মাছচাষী মুনসুর রহমান বলেন, ঝাউপাড়ার মাসুদ রানা ও শামীম রেজার সাত বিঘা জলকরের একটি পুকুর লিজ নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করে আসছিলেন তিনি। পুকুরে বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছও রয়েছে। পুকুরটির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশি সুমন মোল্লা ও সালামত মোল্লার সাথে তার মনোদ্বন্দ্ব চলছিল।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে পুকুরে পানি দিচ্ছিলেন তিনি। এসময় হঠাৎ করেই মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ সাজিয়ে তার পুকুরে আসেন সুমন ও সালামত। অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার অপবাদ দিয়ে বৈদ্যুতিক তার খুলে নেন সুমন। একপর্যায়ে টাকা না দিলে গ্রেফতার এবং মারধরের হুমকি দেন তিনি। ভয়-ভীতি দেখান বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনেরও।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত তিন ব্যাক্তি মিলে ৪৩ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাৎক্ষণিক এতো টাকা জোগাড় করতে না পেরে পুলিশ পরিচয়দানকারি মাসুদকে প্রাথমিকভাবে ছয় হাজার টাকা দেন তিনি। রবিবার বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। বাকি টাকা পেতে বারবার ফোন করে ভয়-ভীতি দেখান পুলিশ পরিচয়দানকারি মাসুদ।
পুকুরের মালিক শামীম রেজা বলেন, পুলিশ পরিচয় দেওয়া মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে তিনি কল দিয়ে জানতে পারেন মাসুদ পুলিশ সদস্য নন। পরে মাছচাষী মুনসুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ৬:১৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৩
gurudaspurbarta.com | MD. Faruk Hossain